রাত পোহালেই মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কামারেরা। ব্যস্ততা এতই বেড়েছে যে, দম ফেলার ফুরসত নেই। দিন-রাত সমানতালে চলছে লোহার টুংটাং শব্দ। উপজেলার বিভিন্ন কামারপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানি সামনে রেখে
আশি ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কামারপাড়ায় চিরচেনা সেই ব্যস্ততা এবার নেই। ঈদের আগে যেখানে কামারদের দিন-রাত ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে এখন উল্টো চিত্র। আগের তুলনায় এবার কাজের চাহিদা কম থাকায় সেই ব্যস্ততা শুরু হয়নি। নতুন করে বানিয়ে রাখা কোরবানির সরঞ্জাম বিক্রি নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কামারেরা। কামারের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদেরও। দোকানগুলোতে বেড়েছে কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ। এর মধ্যে বটি, ছুরি, চাপাতি ও কুড়াল অন্যতম। রাজধানীর শ্যামপুর ও যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত বেশ কয়েকটি কামারের দোকানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এর মধ্যে পশু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি ও পুরোনো দা-বঁটি ও ছুরিতে ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর রায়পুরার কামারেরা। টুংটাং শব্দে মুখর কামার পল্লিগুলো। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ঈদুল আজহার নাম করে নাশকতা করার জন্য কেউ হাতিয়ার প্রস্তুত করছেন কী না, সে
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মাটিরাঙ্গার কামারি ও শ্রমিকেরা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাঁদের ব্যস্ততা। কোরবানির পশু কাটাকাটিতে প্রয়োজন ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম পেটানোর টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাটিরাঙ্গার বিভিন
কদিন পর ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেড়েছে কামারদের কর্মব্যস্ততা। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় কামারশালা এই উপজেলায়।
‘বয়স তখন ১৩। পড়া-লেখার সুযোগ পায়নি। দরিদ্র পরিবারের রুজির (আয়) জন্য বাবার পেশা কামারের কাজে লেগে পড়ি। কিন্তু তেমন আয় না থাকলেও ৬২ বছর বয়সেও আছি বাবার পেশায়।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম।
কঠোর লকডাউনে দোকান বন্ধ ছিল। তখন ক্রেতা আসতে না পারায় কামারদের হাতেও তেমন কাজ ছিল না। লকডাউন শিথিল হওয়ায় কোরবানি সামনে রেখে কিছুটা ব্যস্ততা বেড়েছে কামার পল্লিতে। তবে ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি কম বলে কামারদের মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তাও।
ঈদুল আজহা ঘিরে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামার পল্লিতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টু টাং শব্দে মুখরিত এখন উল্লাপাড়ার কামার পল্লি। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অনেকেই দা, বটি, ছুরি, কাটারি প্রস্তুত করতে ছুটছেন কামার পাড়াতে